দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তে চলমান উত্তেজনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে ভারত ও পাকিস্তান। বুধবার দিবাগত রাতে ভারত প্রথম হামলা চালায় পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে। তবে হামলার মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে পাকিস্তান পাল্টা আঘাত হানে এবং এই দ্রুত প্রতিক্রিয়া যুদ্ধ ইতিহাসে এক ব্যতিক্রমী নজির হয়ে উঠেছে।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা ভারতের চালানো প্রথম আঘাতের পাল্টা জবাবে ২টি ভারতীয় যুদ্ধবিমান, ১টি হেলিকপ্টার এবং ৪টি নজরদারি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। একই সঙ্গে তারা আরও দাবি করে যে, পাঁচজন ভারতীয় সেনা ও বিমানবাহিনীর একাধিক সদস্যকে জীবিত আটক করা হয়েছে। অন্যদিকে, ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে, পাকিস্তানের একটি F-16 যুদ্ধবিমান ধ্বংস করা হয়েছে, যার ফলে সাতজন পাকিস্তানি সেনা ও একজন শিশু নিহত হয়েছেন।
উভয় পক্ষ থেকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ভারত মোট ৯ বার হামলা চালিয়েছে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে। পাল্টা জবাবে পাকিস্তান পাঁচটি স্থানে ১৫ বার আক্রমণ করে। প্রতিটি হামলা ছিল লক্ষ্যভিত্তিক ও সামরিক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়। এ সংঘর্ষে ধর্মীয় স্থানও রক্ষা পায়নি। পাকিস্তান অভিযোগ করেছে, ভারতীয় সেনারা একটি মসজিদে হামলা চালিয়েছে। জবাবে পাকিস্তান শ্রীনগরের একটি ভারতীয় এয়ারবেইজ ধ্বংস করে দিয়েছে বলে দাবি করে।
মিসাইল ব্যবহারের দিক থেকেও পাকিস্তান এগিয়ে রয়েছে। ভারত ৯টি ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করেছে, যেখানে পাকিস্তান ছুড়েছে ১০টি ব্যালিস্টিক এবং ৫টি ক্রুজ মিসাইল। অর্থাৎ পাকিস্তানের মোট মিসাইল নিক্ষেপের সংখ্যা ১৫, যা প্রযুক্তিগত ও কৌশলগত দিক থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বর্তমানে যুদ্ধ স্থল পর্যায়ে পৌঁছেছে। পাকিস্তান দাবি করেছে, তাদের প্রায় ১৫০ জন সেনা জম্মু সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে এবং স্থল অভিযান শুরু করেছে। ভারত এখনও পাকিস্তানি ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে পারেনি বলে সামরিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এদিকে, পাকিস্তানের ইসলামিক ব্যাখ্যায় এই যুদ্ধে অংশগ্রহণকে আত্মরক্ষামূলক বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। কোরআনের আয়াত উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, “তোমরা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করো তাদের বিরুদ্ধে, যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, কিন্তু সীমালঙ্ঘন করো না।” (সূরা আল-বাকারা ২:১৯০)। এই ব্যাখ্যা পাকিস্তানের জনগণ ও সেনাবাহিনীর মনোবল বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
আন্তর্জাতিক মহলে ইতোমধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব, যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়া উভয় দেশকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং অবিলম্বে কূটনৈতিক সংলাপে বসার তাগিদ দিয়েছে। বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, যদি এই যুদ্ধ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না আনা যায়, তবে তা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
এ মুহূর্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে এবং উভয় দেশের গণমাধ্যমে পাল্টাপাল্টি দাবি চলমান। নতুন কোনো ঘোষণা বা সামরিক পদক্ষেপ সম্পর্কে আরও তথ্য আসার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আপডেট দেওয়া হবে।